বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ইতিহাস গড়ে চলেছে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তারা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশীয় স্টার্টআপগুলোতে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, যা একক প্রান্তিকে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিনিয়োগ প্রবাহ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় প্রযুক্তিখাত হিসেবে তুলে ধরছে। ফিনটেক, এডটেক, হেলথটেক, এবং গ্রিনটেক খাতে স্টার্টআপগুলোর উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও বাজার সম্প্রসারণ পরিকল্পনাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে।
উল্লেখযোগ্য চুক্তিগুলো:
Pathao Technologies পেয়েছে ৭৫ মিলিয়ন ডলার নতুন তহবিল একটি মালয়েশিয়ান ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম থেকে।
Shikho, একটি এডটেক প্ল্যাটফর্ম, পেয়েছে ২৫ মিলিয়ন ডলার সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে।
Solshare, গ্রামীণ সৌরশক্তি আদান-প্রদানের একটি উদ্যোগ, পেয়েছে ১৫ মিলিয়ন ডলার জার্মানির একটি গ্রিন ইনোভেশন ফান্ড থেকে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি বলেন,
“এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইউনিকর্ন স্টার্টআপের সংখ্যা হবে অন্তত ৫টি।”
সরকারি উদ্যোগের অবদান:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের “স্টার্টআপ বাংলাদেশ” প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুদান, প্রযুক্তি সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক সংযোগের সুযোগ করে দিচ্ছে। এ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন,
“আমরা শুধু বিনিয়োগ আনছি না, উদ্যোক্তা তৈরি করছি। আমাদের লক্ষ্য প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন।”
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি:
বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন TechCrunch ও Forbes-এ বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর সাফল্য নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
🌟 বিশেষ মন্তব্য:
“প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নই হবে আগামী দিনের বাংলাদেশের চালিকা শক্তি।” — ড. রাশেদা খানম, অর্থনীতি বিশ্লেষক
“বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে মানে বিশ্ব আমাদের বিশ্বাস করছে।” — তানভীর রহমান, উদ্যোক্তা
🧾 সংক্ষেপে:
✅ ৪৫০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ (Q1 2025)
✅ ফিনটেক, এডটেক, হেলথটেক খাতে অগ্রগতি
✅ Pathao, Shikho, Solshare-এর উল্লেখযোগ্য অর্জন
✅ সরকার ও বেসরকারি সমর্থনে নতুন দিগন্ত