জার্মানিতে জলবায়ু আন্দোলন তীব্র, সরকার চাপে

জার্মানিতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে টানা আন্দোলনে উত্তাল দেশটির প্রধান শহরগুলো। পরিবেশবাদী সংগঠন “Fridays for Future”, “Letzte Generation” (শেষ প্রজন্ম), এবং ছাত্র-তরুণদের উদ্যোগে আয়োজিত এই আন্দোলন দিন দিন তীব্র রূপ নিচ্ছে।

শুধু বার্লিনেই গত শুক্রবার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে আসে, যার মধ্যে ছিল স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী, বিজ্ঞানী, এমনকি কিছু প্রবাসীও।

🌍 আন্দোলনের মূল দাবি:
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বন্ধ

কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দ্রুত রূপান্তর

নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প বাতিল

🗣️ জনগণের বক্তব্য:
“আমরা এই পৃথিবী নষ্ট করার জন্য জন্মাইনি। সরকার যদি কিছু না করে, আমরাই কিছু করব।” — এলেনা মায়ার, বার্লিনের এক পরিবেশকর্মী

“আমার সন্তানদের জন্য একটা নিরাপদ ভবিষ্যৎ চাই। সে জন্য আজ রাস্তায়।” — ফ্লোরিয়ান ব্রাউন, এক অভিভাবক

🏛️ সরকারের প্রতিক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ:
জার্মান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় আন্দোলনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানালেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও শিল্পখাতের চাপ রয়েছে। কিছু রাজ্যে কয়লা-নির্ভর শিল্প বন্ধ হলে বেকারত্ব বাড়তে পারে—এই আশঙ্কায় সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এক বিবৃতিতে বলেছেন,
“জলবায়ু সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। কিন্তু এটি বাস্তবায়নে সময় ও ভারসাম্য প্রয়োজন।”

🌐 আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ:
জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হওয়ায়, তাদের জলবায়ু নীতি আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলনের চাপে সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়, তা সারা বিশ্ব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

📌 সংক্ষেপে:
✅ জার্মানির বড় শহরগুলোতে জলবায়ু আন্দোলন
✅ কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধে সরব তরুণ সমাজ
✅ সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে
✅ ইউরোপীয় জলবায়ু নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে